শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা কুমিল্লা জেলার মৈনামতি-লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটি প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন, যা পাল সাম্রাজ্যের সময়ে (৮ম-১২শ শতাব্দী) নির্মিত হয়েছিল। শালবন বিহার মূলত একটি বৌদ্ধ মঠ ছিল, যেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা বসবাস করতেন এবং ধর্মচর্চা করতেন।
শালবন বিহার সৌন্দর্য ও অবস্থান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা :-
শালবন বিহার বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা কুমিল্লা জেলার মৈনামতি-লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। এটি প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন, যা পাল সাম্রাজ্যের সময়ে (৮ম-১২শ শতাব্দী) নির্মিত হয়েছিল। শালবন বিহার মূলত একটি বৌদ্ধ মঠ ছিল, যেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা বসবাস করতেন এবং ধর্মচর্চা করতেন।
শালবন বিহারের সৌন্দর্য মূলত তার স্থাপত্যশৈলীতে প্রকাশ পায়। এখানে একটি বড় কেন্দ্রীয় মন্দির এবং চারপাশে ১১৫টি কক্ষ রয়েছে, যা একটি চতুর্ভুজ আকারে সাজানো। বিহারের ধ্বংসাবশেষগুলো আজও পর্যটকদের প্রাচীন বৌদ্ধ স্থাপত্যের সৌন্দর্য এবং নৈসর্গিক পরিবেশে মুগ্ধ করে। এর চারপাশের সবুজ শালগাছের বন এবং শান্ত পরিবেশ পর্যটকদের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা তৈরি করে।
শালবন বিহার কুমিল্লা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ঢাকার সঙ্গে ভালো সড়কপথে সংযুক্ত, তাই সহজেই ভ্রমণ করা যায়।